লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : কোরবানির ঈদের সময় থেকে বেশ কয়েক দিন নিয়মিত গরুর মাংস খাওয়া হয়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত মাংস খাওয়া শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়।
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ৯টি পুষ্টি উপাদান আছে গরুর মাংসে। এগুলো হলো প্রোটিন, জিংক, ভিটামিন বি১২, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, নায়াসিন, ভিটামিন বি৬, আয়রন ও রিবোফ্লাভিন।
প্রোটিন শরীরের পেশি গঠনে ভূমিকা রাখে, জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের শক্তি বাড়ায়, আয়রন শরীরের পেশিগুলোতে অক্সিজেন প্রবাহে সহায়তা করে এবং ভিটামিন বি১২ খাদ্য থেকে শক্তি জোগান দেয়।
বর্ধনশীল শিশু বা টিএনএজারদের শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে গরুর মাংসের তুলনা নেই। শারীরিক ও বুদ্ধি-বৃত্তিক গঠন এবং রক্তবর্ধনেও এটি ভূমিকা রাখে।
আমরা অনেকেই জানি না যে গরুর মাংস কতটুকু খাবেন ও কীভাবে খাবেন?
এ বিষয়ে এভার কেয়ার হাসপাতালের (অ্যাপোলো) পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, সব বয়সী মানুষের মাংস খেতে হবে পরিমাণমতো। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। কোরবানি ঈদের পর বেশ কয়েক দিন মাংস খাওয়া হয়ে থাকে। তাই এ সময় প্রোটিনজাতীয় অন্য খাবারে খাবেন না। এ ছাড়া একটানা মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
তিনি বলেন, হার্ট ও উচ্চরক্তচাপের রোগীর মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। এসব রোগী মাংস খেতে চাইলে তার পরিমাণ কম হবে। আর মাংস রান্না করার সময় সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে কম তেলে রান্না করতে হবে। এতে স্বাদ কম হলেও এটি স্বাস্থ্যকর।
প্রতিদিন গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম। ৩ আউন্স মাংসে আছে ২০০ কিলো ক্যালোরি, যা দৈনিক মাত্র ১০ ক্যালোরির জোগান দেবে।
এই ৩ আউন্স মাংসে কোলেস্টেরল থাকে ৫৩ মিলিগ্রাম। একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন নিরাপদ মাত্রা হলো ৩০০ মিলিগ্রাম এবং হার্টের রোগীদের জন্য ২০০ মিলিগ্রাম।